বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
আবু বকর অন্তু, রাবি থেকে::
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) লিচু পাড়াকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনায় নগরীর মতিহার মামলা করা হয়েছে। এতে ৬ জন পাহারাদার ও ১০ জন অজ্ঞাতনামা করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইন বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আকাশ বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। তবে আসামীদের নাম জানা যায়নি।
এঘটনায় আশীষ কুমার (২৪) নামের একজনকে তার বাড়ি কাজলা থেকে আটক করেছে মতিহার থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে মতিহার থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা শাহাদত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে গতকাল (৭ মে) মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলের পেছনে গোদাগাড়ী বাগানে ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান কানন ও উপ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান লিচু খেতে যান। বাগানটিতে পাহাড়ার দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন তাদেরকে বাধাঁ দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও কানন ও মেহেদীসহ সবাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মী পরিচয় দেওয়ার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। এতে লিজ নেওয়া স্থানীয়রা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি-বাঁশ দিয়ে সবাইকে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এতে ছাত্রলীগের কমপক্ষে ৮ জন নেতাকর্মী আহত হন। মারধরে কাননের দুটি হাতই ভেঙ্গে গেছে এবং মেহেদীর এক পায়ে গুরুতর জখম হয়। বর্তমানে তারা মেডিকেলের ৮ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় খবর পেয়ে তৎক্ষনাত শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন হল থেকে রামদা, রড, হাশুয়াসহ বিভিন্ন অবৈধ অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে থাকে। তবে লিচু লিজকারীদের খুঁজে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের থাকার তৈরি করা মাচার ঘরটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
রাবি কৃষি প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, রোকেয়া হলের পেছনে লিচুর বাগানটি ইবনে মনওয়ার নামে এক ব্যক্তি টেন্ডার নিয়েছেন। তাকে মৌখিকভাবে বলা আছে শিক্ষার্থীরা লিচু খেতে চাইলে খেতে দিতে হবে।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘ছাত্রলীগের দুই নেতাকে স্থানীয়রা মারধর করেছে। তারা গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘সবাই এখনো রামেক হাসপাতলে চিকিসাধীন রয়েছে।
নগরীর মতিহার থানার (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা শাহাদৎ হোসেন জানান, লিচু পাড়ার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা ইমরান আকাশ বাদী হয়ে রাতেই একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্তের স্বার্থে মামলায় আসামীদের নাম গোপন করা হয়েছে। আমরা এরই মধ্যে বুধবার সকালে আশীষ কুমার নামে একজনকে কাজলা থেকে আটক করি। বাকিদেরও আটক করার চেষ্ট চলছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করা অত্যন্ত অপরাধের কাজ। এঘটনায় মতিহার থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে বলে শুনেছি। পুলিশ এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।